https://www.facebook.com/shirsokhabor/
মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আরও
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরীর খবর
  11. জেলার খবর
  12. জোকস
  13. টপ টেন
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দুর্ঘটনা

নাটোরে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম, সবজিতে আগুন

প্রতিবেদক
Amirul Islam
মার্চ ২৮, ২০২৩ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
ইপেপার দেখুন

অনলাইন ডেস্কঃ

নাটোরের বাজারগুলোতে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। বাজারে সব ধরনের সবজির সরবারহ থাকলেও বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সবজির দাম না কমায় হতাশ ক্রেতারা। অনেকে সবজি কিনতে এসে দাম শুনে রীতি মতো অবাক হচ্ছেন। ফলে শুধু আলু কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেকে। গরীবের ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

বাজারে খাদ্যপণ্যের সংকট না থাকলেও মূল্যবৃদ্ধিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। তাদের অভিযোগ, রমজানকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়িয়েছে।

নাটোরের বাজারগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন সবজি উঠেছে। নাটোরের বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৯০-১০০ টাকায়, সাজনা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকায়, খিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়, পেয়াঁজ ৪০ টাকা, রসুন ৮০/৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, সবজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ, মুরগি ও মাংসের দাম। ট্যাংড়া মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৬০০-৭০০ টাকায়, টাকি মাছ ৫০০-৬০০ টাকায়, রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকায়, ইলিশ, ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালি ব্রয়লার মুরগি ৩৮০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

জরুহুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালক জানান, সারা দিন ভাড়া খেটে ৩০০ টাকা ইনকাম করেছেন। তা দিয়ে চাল, তেল, সবজি কিনতে বাজারে এসেছেন। কিন্তু বাজারে সব তরকারির দাম বেশি। দুদিন আগেও বেগুন ২০ টাকা কেজিতে কিনেছেন। আজকে সেই বেগুন ৬০ টাকা চাচ্ছেন দোকানিরা। এতো দাম বেড়ে গেলে সংসার চালানো মুশকিল বলে জানান তিনি

ক্ষোভ নিয়ে আরেক রিকশাচালক আনিসুর রহমান ইসলাম বলেন, অন্যদেশে রোজা আসলে দাম কমে, আমাদের দেশে রোজা আসলে দাম বাড়ে। চাল ৭০ টাকায়, তরকারি ৮০ টাকা, তেল ২০০ টাকা। আমাদের মতো গরীব মানুষ কিভাবে জীবন বাঁচাবে? সবকিছু দাম যে হারে বাড়ছে, আমাদের মতো গরীব মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে।

সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, সব ধরনের সবজির দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে কেজিতে ৫ টাকা লাভে বিক্রি করছি। বর্তমানে সবজির আমদানি কিছুটা কম, আমদানি বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ২৫০ গ্রাম সবজি কিনছেন। অনেকে সবজির দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। অনেকে শুধু আলু কিনছে। আগের চেয়ে আমাদের বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।

আরিফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, মাছ, মাংস কিনে খাওয়া তো সম্ভব না। মানুষ যে একটু সবজি খাবে তাও পারছে না। যে হারে সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজি ৭০-৮০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে রোজার মাস এলেই সবকিছুর দাম বেড়ে যায়।

সাবিয়া বেগম নামে এক নারী ক্রেতা বলেন, মাছ কিনতে এসেছি। ৩০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। রোজার মাসে একটু ভাল খেতেও পারি না। কোনো রকম পেট বাঁচিয়ে যাচ্ছি।

ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। মাছ তো দূরের কথা, সবজি কিনতেই সব টাকা শেষ। মরিচ, পেয়াঁজ, তেল কি দিয়ে কিনবো। রোজার আগে সবজির দাম একটু কম ছিল। রোজার কারণে সব জিনিসের দাম ডবল বেড়ে গেছে। সংসার চালাতে কি যে কষ্ট হচ্ছে তা বলে বুঝাতে পারবো না।

জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর ঢাকা মেইলকে বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার তদারকি করে থাকে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ বেশি নিচ্ছে কি না, তা ভোক্তা অধিদপ্তর পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা করছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক